তুমি যদি পত্রিকা পড়ো বা টিভি নিউজ দেখো, অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকো, তাহলে তোমার চোখে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট বা যৌন হয়রানি শব্দটি ধরা পড়েছে নিশ্চয়। একই সাথে এটিও নিশ্চয় তুমি জানো যে যৌন হয়রানি একটি অপরাধমূলক কাজ।
কিন্তু সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট বা যৌন হয়রানি সম্পর্কে সঠিক ধারণা কি আছে তোমার? চলো আজ এই বিষয়টি নিয়ে জানি।
যৌন হয়রানি
যৌন হয়রানি হলো এমন কোনো অবাঞ্ছিত যৌন আচরণ যার ফলে কেউ ভয় পায়, অপমানিত বোধ করে বা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
বিভিন্ন প্রকার যৌন হয়রানি
যৌন হয়রানির কয়েকটি ধরণ এখানে তুলে ধরা হলো –
অমৌখিক বা ইশারা/ইঙ্গিতঃ
- বাজে ইশারা বা ইঙ্গিত দেওয়া।
- অশ্লীল ছবি দেখানো।
- বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল, অফিস, শ্রেণি কক্ষ বা বাথরুমের দেওয়ালে কাউকে নিয়ে যৌন অপমানজনক কিছু লেখা বা ছবি এঁকে রাখা।
মৌখিকঃ
- যৌনতামূলক ভাষা ব্যবহার করে কাউকে ঠাট্টা-উপহাস করা
- কাউকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কোনো জোকস বলা।
- কারো শরীর নিয়ে যৌনতাপূর্ণ কথা বলা।
শারীরিকঃ
- কারো অনুমতি ব্যতিত তার শরীর স্পর্শ করা বা স্পর্শ করার চেষ্টা।
- কোনো প্রকার সুযোগ সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে বা ভয় দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা।
সাইবারঃ
- ইমেইল বা সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে কাউকে যৌনতামূলক মেসেজ বা ছবি দেওয়া।
এই পর্বে আমরা যৌন হয়রানি ও যৌন হয়রানির কয়েকটি ধরন নিয়ে তোমাদেরকে জানানোর চেষ্টা করলাম। পরবর্তী পর্বে আমরা তোমাদের জানাবো যৌন হয়রানির শিকার হলে তুমি কী করবে।
-মোস্তাফিজুর রহমান
Pingback: যৌন হয়রানির ধরন – ২ (ইনফোগ্রাফিক্স) – 7Teen