ওয়েট ড্রিম বা স্বপ্নে বীর্যস্খলনঃ জানা-অজানা (পর্ব ০১)

“ওয়েট ড্রিম”, টিনএজে হওয়া একটি বিশেষ ঘটনা যা তোমাদের অনেকের কাছেই বিব্রতকর ও কৌতূহলের একটি বিষয়। যা নিয়ে তোমাদের অনেকের মনেই রয়েছে বেশ কিছু প্রশ্ন তাইনা? তাই আজকের পর্বে তোমাদের জন্যে থাকছে ওয়েট ড্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত একটি আলোচনা। 

“ওয়েট ড্রিম” কী?

ওয়েট ড্রিম কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিতে প্রকাশ পাওয়া একটি স্বাভাবিক শরীরবৃত্তীয় ঘটনা যার দ্বারা শরীরে উৎপাদিত অতিরিক্ত বীর্য (Seminal Fluid)  ঘুমের মাঝে নিঃসরিত হয়ে যায়। এটি ইংরেজি ভাষায় Nocturnal Emission নামেও পরিচিত। 

কেন হয়? 

ওয়েট ড্রিম এর প্রধান কারণ হরমোনের পরিবর্তন। স্বাভাবিকভাবেই কিশোরদের শরীরে “টেস্টোস্টেরন” নামক বিশেষ পুরুষ হরমোনের নিঃসরণ হয় যা Semen বা বীর্য উৎপাদন শুরু করে এবং বয়ঃসন্ধিকালে অতিরিক্ত বীর্য ঘুমের মাঝেই নিঃসরিত হয় যা “ওয়েট ড্রিম” নামে পরিচিত। তবে কিশোরীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি হয়ে থাকে বয়ঃসন্ধিকালে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের মাত্রার পরিবর্তনের কারণে। 

কাদের হয়? 

ওয়েট ড্রিম কিশোর-কিশোরী উভয়ের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তবে “জার্নাল অব সেক্স রিসার্চ”- এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রের তথ্য অনুযায়ী নারীদের তুলনায় পুরুষদের ওয়েট ড্রিম বেশি হয়ে থাকে। 

কখন হয়? 

ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির গবেষক Alfred Kinsey এর  গবেষণা অনুযায়ী পুরুষের ক্ষেত্রে ওয়েট ড্রিম বয়ঃসন্ধিতে সবচাইতে বেশী হয়ে থাকে। রেভিসতা ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এন্ড্রোলোজিয়াতে প্রকাশিত এক গবেষণায় ১১৩ জন পুরুষের ওপর করা এক গবেষণায় দেখা যায় তাদের মধ্যে ১৯ জনের কখনোই ওয়েট ড্রিম হয়নি। তবে, নারীদের ক্ষেত্রে ওয়েট ড্রিম সাধারণত ১৩-২১ বছরের কিশোরী বয়সের মধ্যেই হয়ে থাকে। তবে তা বছরে ১ থেকে ২ বারের বেশি নয়। 

এটি কি ক্ষতিকর? 

এটি কোনো রোগ বা ক্ষতিকর বিষয় নয়। বরং এটি একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক শরীরবৃত্তীয় বিষয়।

– মোঃ রাফসান তালুকদার

(রিসার্চার, মেডিক্যাল প্রফেশনাল)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *