সৃজনশীলতা ও প্রতিভা বিকাশের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি দরকার নিজের পছন্দের কিছু করা। অবসরে শখের কাজে সময় দেওয়া শুধু মন ভালো রাখে তা নয়, বরং বাড়িয়ে দেয় কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা।
টিনএজ নিজেকে আবিষ্কার করার জন্য সঠিক সময়। নিজের পছন্দ, প্যাশন ও সুপ্ত প্রতিভা খুঁজে বের করতে এসময় বিভিন্ন এক্সট্রাকারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতে মনোনিবেশ করতে পারো।
চলো দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু অ্যাক্টিভিটি ও শখ নিয়ে করা আমাদের আজকের তালিকাঃ
১। স্ক্র্যাপবুকিং, জার্নালিং বা ডায়রি লেখাঃ
মনের কথা লিখতে যাদের ভালো লাগে, তাদের জন্য ডায়রি লেখা বা স্ক্র্যাপবুকিং করা একটি ভালো অপশন হতে পারে। বিশ্বের অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী, লেখক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ডায়রি লেখার অভ্যাস ছিল। বলা হয়ে থাকে, বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের লেখা প্রায় আশি হাজার পৃষ্ঠার খোঁজ পাওয়া যায়!
২। বোর্ড গেমসঃ
দাবা, সুডোকু, পাজল, স্ক্র্যাবল ইত্যাদি বোর্ড গেমেও থাকতে পারে অনেকের আগ্রহ। সুন্দর সময় কাটানোর পাশাপাশি বুদ্ধির বিকাশ, চিন্তার উন্নয়ন এবং ধৈর্য্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে বোর্ড গেমস।
৩। বাগান করাঃ
বাড়ির আঙিনায় বা ছাদে, গাছ লাগানোর সুযোগ থাকলে চেষ্টা করতে পারো বাগানশিল্প নিয়ে কাজ করার। গাছ থেকে অক্সিজেন, ফল-ফুল পাওয়ার পাশাপাশি, বাগান করা মন ভালো রাখতে ও স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
৪। শিল্পকলাঃ
নাচ, গান, অভিনয়, আবৃত্তি করাও হতে পারে অবসরকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর অন্যতম উপায়। লেখালেখিতে হাত থাকলে চেষ্টা করতে পারো কবিতা, গল্প বা নাটক লিখে ফেলতে।
৫। মার্শাল আর্টসঃ
আত্মপ্রতিরক্ষার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক উন্নতি ঘটাতে শিখে নিতে পারো কারাটে, জুডো, ক্রাভ মাগা, তাই-চি সহ বিভিন্ন কসরত।
৬। নতুন কিছু শেখাঃ
বলা হয়ে থাকে নতুন একটি ভাষা, বা স্কিল শেখার মাধম্যে মস্তিষ্কে নতুন নিউরন সংযোগ তৈরি করা যায়। স্কিল হিসেবে শেখা যেতে পারে অনেক কিছুই, যেমনঃ সেলাই করা, কোডিং করা, বাদ্যযন্ত্র বাজাতে শেখা ইত্যাদি।
আইকিউ বৃদ্ধিতে, সময়ের সঠিক ব্যবহার শিখতে এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নে ইতিবাচক ও উন্নয়নমূলক কাজে সময় দেওয়া অনেক ভাবে সাহায্য করে। বিশেষ করে, কাজটির প্রতি যদি থাকে ভালোবাসা এবং আগ্রহ।
তাই, স্কুলের কাজের পাশাপাশি তোমাকে আনন্দ দেয় এমন কাজ ও সেই কাজের জন্য সময় খুঁজে বের করে নাও।
– নাদিয়া নুসরাত
I have soo many hobies. I want to try all of them and then i end up doing nothing!🙂