জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণঃ কেন করবে, কীভাবে করবে

স্কুলের পরীক্ষায় বা কোনো রচনা লেখা প্রতিযোগিতায় নিশ্চয় অনেকবার তোমাকে জীবনের লক্ষ্য নিয়ে রচনা লিখতে হয়েছে!

কিন্তু তুমি এই রচনায় তোমার জীবনের লক্ষ্য যা লিখেছো, সেটি কি আসলেই তোমার জীবনের লক্ষ্য? 

যদি তোমার উত্তর “হ্যাঁ” হয়, তাহলে তোমাকে অভিনন্দন! কারণ, তুমি জানো এবং বিশ্বাস করো, এটিই তোমার জীবনের লক্ষ্য। 

আর যদি তোমার উত্তর “না” হয়, তাহলে তোমাকে প্রশ্ন করবো, তুমি কি তোমার জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে পেরেছো? 

যদি না পারো, তবে আজকের আর্টিকেলটি তোমার জন্য! 

লক্ষ্য ঠিক করা কেন প্রয়োজন? 

তুমি যদি আগামীকাল বা আগামী সপ্তাহ বা ৫ বছর পর নিজেকে কোন অবস্থায় দেখতে চাও, সেটি ঠিক করে ফেলতে পারো, তাহলে কিন্তু তোমার জন্য সেই লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়ে যাবে। কারণ, তখন তুমি জানবে তোমার লক্ষ্য পূরণে তোমাকে কী করতে হবে, কীভাবে তোমার ডেইলি রুটিন সাজাতে হবে, কোথায় তোমার দুর্বলতা আছে বা কোন বিষয়টাতে তোমার উন্নতি করতে হবে। 

তবে হ্যাঁ, তুমি যদি শুধু লক্ষ্য ঠিক করে রাখো কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য পরিশ্রম না করো তাহলে কিন্তু তোমার লক্ষ্য লক্ষ্যই থেকে যাবে, পূরণ হবে না! 

লক্ষ্য নির্ধারণ করবে কীভাবে? 

প্রথমেই নিজেকে প্রশ্ন করো, তুমি জীবনে কী করতে চাও? 

প্রশ্ন করার পর মাথার ভেতর অনেক উত্তর ঘুরছে, তাই তো? আচ্ছা, সব উত্তরগুলো একটি কাগজে লিখে ফেলো। 

এবার চিন্তা করে দেখো তো, কোন লক্ষ্যগুলো আসলেই তোমার পছন্দের এবং ভালো লাগার? কোন লক্ষ্যগুলো পূরণ হলে তুমি অনেক খুশি হবে? 

তেমন কিছু লক্ষ্য আলাদা একটি কাগজে লিখে ফেলো। 

এবার এই লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে হলে তোমাকে কী কী করতে হবে একটু ভেবে নাও এবং লক্ষ্যগুলোর পাশে লিখে ফেলো। 

কোনো লক্ষ্যের ক্ষেত্রে কি মনে হচ্ছে, নাহ, এই লক্ষ্য পূরণে যে কাজ করতে হবে সেটি আমার ভালো লাগার বা পছন্দের কাজ নয়? তাহলে সেটিও বাদ দাও! এখন দেখো তো তোমার লক্ষ্যের তালিকা ছোটো হয়ে এসেছে না? 

এবার এই ছোটো তালিকার লক্ষ্যগুলো নিয়ে তুমি কথা বলতে পারো তোমার পরিবারের সদস্যদের সাথে, কথা বলতে পারো তোমার শিক্ষকদের সাথে। তুমি নিজেও লক্ষ্যগুলো নিয়ে গুগলে সার্চ করতে পারো, ছোটো তালিকার লক্ষ্যগুলো নিয়ে আরো ভালো ভাবে জানতে। 

এবার দেখো, ছোটো তালিকা আরো ছোটো হয়ে গিয়েছে! হয়তো তোমার তালিকায় এখন ১টি লক্ষ্যই আছে! 

তাহলে তো তোমার লক্ষ্য ঠিকই হয়ে গেলো! এখন তোমাকে কী করতে হবে জানো তো? 

লক্ষ্য পূরণে এখন থেকেই তোমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তবেই না তুমি তোমার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।

লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ভিরাট কোহলি, সাকিব আল হাসান, এড শিরান, এমা ওয়াটসন, তোমরা এদেরকে চেনো নিশ্চয়? এরা কিন্তু জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে রেখেছিলো আগে থেকেই! বলা যায় সেই কিশোর বয়স থেকেই!

জীবনের লক্ষ্য পুরণে তারা ধৈর্য সহকারে পরিশ্রম করে গিয়েছেন। যার ফলে আজ তারা সফল!

সুতরাং, তুমি জীবনে কী করতে চাও বা কী হতে চাও, সেটি ঠিক করে ফেলো এখনই! আর সেই অনুসারে শুরু করো কঠোর পরিশ্রম। তাহলেই তুমি তোমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *