মাদককে ‘‘না’’ বলো (পর্ব ০১)

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ মাদকবিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ১ হাজার ৩২৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। যাদের মধ্যে ৯১৫ জনের বয়স ১৫ থেকে ৩০ বছরের মাঝে। সে হিসাবে সেখানে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিদের প্রায় ৬৯ শতাংশ কিশোর ও তরুণ।

এর আগে ২০১৫ থেকে ২০১৮ মেয়াদে কেন্দ্রীয় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নেন ২ হাজার ৮৫৩ জন। যাদের মধ্যে ১ হাজার ৬৮২ জনের বয়স ১৫ থেকে ৩০ বছর, অর্থাৎ প্রায় ৫৯ শতাংশই কিশোর ও তরুণ।

এই পরিসংখ্যানের মাধ্যমেই বোঝা যাচ্ছে, আমাদের কিশোর ও তরুণরদের একটি বড়ো অংশ  মাদকের প্রতি আসক্ত! এটি চিন্তিত হওয়ার মতো একটি বিষয়। 

মাদক কী? 

মাদক হলো এমন একটি দ্রব্য, যা গ্রহণ করলে শারীরিক ও মানসিক উত্তেজনা তৈরি হয়। এর ফলে স্বাভাবিক চিন্তা-ভাবনা বাধাগ্রস্ত হয় এবং শরীরে অবসাদের সৃষ্টি হয়। 

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মাদক সেবন বা গ্রহণের ফলে শরীর, মন ও মস্তিষ্কে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন ঘটে। মাদকদ্রব্য একবার সেবন করলে আবারো সেবনের কৌতূহল জাগে। এভাবে মাদকসেবক নিয়মিত তা গ্রহণ করে। এভাবেই এক পর্যায়ে নেশায় পরিণত হয় এবং মাদক সেবনকারী নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

মাদকে আসক্ত হওয়ার কারণ

  • কৌতূহল 
  • মাদকের সহজলভ্যতা 
  • বন্ধুদের প্রতি বিশ্বাস বা বন্ধুদের চাপে পড়ে 
  • পারিবারিক অশান্তি 
  • হতাশা, বিষণ্ণতা ও একাকীত্ববোধ 
  • নিজেকে স্মার্ট দেখানোর প্রবণতা
  • আদর্শ মনে করে এমন কারো দ্বারা প্রভাবিত হওয়া 
  • আইনের শিথিলতা 

মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব 

শারীরিক ক্ষতি

  • খাদ্যাভ্যাস নষ্ট হয়ে যায়
  • স্মৃতি শক্তি নষ্ট হয় 
  • দৃষ্টি শক্তি কমে যায় 
  • যৌনশক্তি কমে যায়
  • বন্ধ্যাত্বের মতো ঘটনাও ঘটে থাকে
  • রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • গ্যাস্ট্রিক এবং গ্যাস্ট্রিক থেকে আলসারের সমস্যা তৈরি হয় 
  • লিভার এবং কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে 
  • ফুসফুসে ক্যান্সার হয়
    -শারমিন কবীর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *