কনসেন্ট কালচার: সম্মতি নেয়ার রীতি (পর্ব ০১)

“কনসেন্ট কালচার” তোমাদের কাছে কি শব্দটি নতুন? 

এর অর্থ কিন্তু খুবই সহজ ও সাবলীল। 

তবে এই অতি সাধারণ বিষয়টির সঠিক অনুশীলন সমাজে না থাকার কারণে সৃষ্টি হয় বহু অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি। 

চলো তাহলে আজ জেনে নিই কনসেন্ট কালচার বিষয়ে। 

কনসেন্ট কালচার কী?

কনসেন্ট শব্দের অর্থ অনুমতি নেওয়া, আর কনসেন্ট কালচার বলতে বোঝায়, অন্যের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তা মেনে চলা। সেটি হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ায় কারো ছবি আপলোডের আগে তার সম্মতি নেয়া থেকে শুরু করে কারো বিষয়ে কোনো মজার ঘটনা শেয়ার করার ক্ষেত্রেও। কনসেন্ট বা সম্মতি হতে হবে পরিপূর্ণ নিজ ইচ্ছায়, কোনো রকম বাহ্যিক প্রভাবহীন।

কনসেন্ট কালচার ও বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা

কনসেন্ট নেওয়া ছাড়া যেকোনো ধরণের কর্মকান্ডই শাস্তি যোগ্য অপরাধ আর সেটি যদি হয় কোনো নারীর সাথে, তবে এর জন্য রয়েছে কঠোরতম শাস্তি।

১. দন্ডবিধি আইনের ২৯৪ ধারায় বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি অন্যের বিরক্তির সৃষ্টি করে অর্থাৎ অন্যের অনুমতি না নিয়ে যে কোনো প্রকার হয়রানির সৃষ্টি করে সেই ব্যক্তি ৩মাস পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।

২. নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ নং ধারা অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া শরীরের যে কোনো অঙ্গ স্পর্শ করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ভোগ করবে এবং অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে।

৩. ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৭৫ ও ৭৬ নম্বর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি পাবলিক প্লেইসে কোনো নারীকে অপমান বা বিরক্ত করে তবে সেই ব্যক্তি ৩ মাস থেকে ১ বছর মেয়াদী কারাদন্ডে দন্ডিত হবে। 

পরবর্তী পর্বে তোমাদের জানাবো কনসেন্ট কালচারের প্রয়োজনীয়তা, যৌনতার ক্ষেত্রে কনসেন্ট কালচার, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কনসেন্ট কালচার এবং সমাজে কনসেন্ট কালচার প্রতিষ্ঠায় তোমরা টিনএজাররা কী করতে পারো তা নিয়ে।

– মোঃ রাফসান তালুকদার

(রিসার্চার, মেডিক্যাল প্রফেশনাল)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *