এইডস
যৌনবাহিত রোগগুলোর মাঝে সবচেয়ে ভয়ংকর রোগটি হলো এইচআইভি এইডস (HIV AIDS)।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে ১ হাজার ২৭৬ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে আড়াই শতাধিক এইডস রোগী। বাংলাদেশে এইডস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এক বছরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর এ সংখ্যায় সর্বোচ্চ।
AIDS হলো Acquired (অর্জিত) Immune (ইমিউন বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) Deficiency (ডিফেসিয়েন্সি বা হাস) Syndrome (সিনড্রোম বা অবস্থা) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। অর্থাৎ, বিশেষ কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়াকে এইডস (AIDS) বলে।
Human Immunodeficiency Virus, সংক্ষেপে HIV নামক ভাইরাস দ্বারা এ রোগ সৃষ্টি হয়।
লক্ষণ
- কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে পেটের গন্ডগোলে ভোগা
- খবারের প্রতি অনীহা
- দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভোগা
- জ্বরের সাথে হাত-পা ও কোমরে ব্যথা থাকতে পারে
- চোখ, নাক, মুখ, পিঠ, গলায় যদি লাল, গোলাপী, কালো রঙের র্যাশ দেখা দিতে পারে
- মুখে বা জিহ্বায় পুরু, সাদাটে স্তর
- ফুসফুসে জীবাণুর আক্রমণ ঘটতে পারে এবং বুকে ব্যথাসহ শুষ্ক কফ জমতে পারে
- দিনের পর দিন ওজন কমতে থাকে
- নারীদের পিরিয়ডের ক্ষেত্রে জরায়ুমুখে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটতে পারে। জরায়ুমুখ থেকে সাদাটে তরল নিঃসৃত হতে পারে
- কোন কারণ ছাড়াই সব সময় অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করা
- অকারণেই শরীরের কোনো স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হয়ে ছোপ ছোপ দাগ দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার
- অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে হবে।
- অন্যের ব্যবহৃত ব্লেড, রেজর ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে ।
- একই সিরিঞ্জ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- কোন কারণে রক্তের প্রয়োজন হলে রক্ত পরীক্ষা করে নিতে হবে।
- এইডস রোগের চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তবে গবেষকেরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিছু ঔষধ তৈরি হয়েছে যা এইচআইভি সংক্রমনকে বিলম্বিত করে। এইডস রোগ উপশমে সক্ষম না হলেও রোগীর মৃত্যু সংখ্যা কমাতে সাহায্য করছে এসব ওষুধ। তাই উপরের লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়া মাত্রই রোগীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
–শারমিন কবীর