This website uses cookies to enhance your browsing experience, analyze site traffic, and personalize content. By continuing to use this site, you consent to our use of cookies.
বয়ঃসন্ধিকালে পরিস্কার-পরিচ্ছনতাঃ দিতে হবে বাড়তি গুরুত্ব
BY M S
June 26, 2024
0
Comments
32 Views
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা Healthy Lifestyle এর একটি অংশ। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। খাবার আগে এবং টয়লেট শেষে হাত ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে তোমরা সকলেই জানো। বয়ঃসন্ধির এই স্পর্শকাতর সময়টিতে তোমাদের বয়সী কিশোর-কিশোরী উভয়েরই রয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার বিশেষ প্রয়োজনীয়তা, তবে মাসিক চলাকালীন কিশোরীদের পরিচ্ছন্নতার প্রতি দিতে হয় বাড়তি মনোযোগ। আজ তোমাদের জানাবো বয়ঃসন্ধিকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার বেশ কিছু উপায় যা তোমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করো
বয়ঃসন্ধিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার শুরু হতে পারে শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টির কারণ গুলো দূর করার মাধ্যমে। বয়ঃসন্ধির এই সময়টায় তোমাদের হাতের নিচে (armpit) ও গোপনাঙ্গের আশেপাশে একটি নতুন ধরনের ঘাম গ্রন্থি (sweat gland) তৈরি হয়। এই সময়টায় চামড়ায় থাকা ব্যাকটেরিয়া সমূহ ঘামকেই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে এবং দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। তাই নিয়মিত স্নান ও পরিহিত কাপড় ধুয়ে ফেলার মাধ্যমে দুর্গন্ধ অনেকাংশেই হ্রাস করা সম্ভব। এছাড়া Antiperspirant Deodorant ব্যবহারের মাধ্যমেও তোমরা ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার পাশাপাশি পেতে পারো সতেজ অনুভূতি।
মোজার দুর্গন্ধ
তোমাদের প্রতিদিনের একটি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয় স্কুলে। দীর্ঘক্ষণ পর বাহির থেকে আসার পর দেখা যায় অনেকের পায়ে দুর্গন্ধ হয়। তাই পায়ের এই দুর্গন্ধ এড়াতে নিতে পারো বেশ কিছু পদক্ষেপ। যেমন স্নানের সময় সাবান দিয়ে ভালোভাবে পা পরিষ্কার করে ধুয়ে নেয়া ও জুতো পরার পূর্বে খেয়াল রাখা যেন পা কোনোভাবে ভেজা না থাকে। এর পাশাপাশি মোজা পরার সময় ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করলে দুর্গন্ধ দূর করা যায়। এছাড়া সিনথেটিক ফাইবারের তৈরি মোজার পরিবর্তে পরতে পারো কটনের তৈরি মোজা।
দাঁতের পরিচ্ছন্নতা
নিয়মিত দাঁত ব্রাশের অভ্যাস গড়ে তোলো। এটি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ডেইলি রুটিনের অংশ। এর ফলে মুখে দুর্গন্ধ দূর হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দাঁতের সমস্যা থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব। আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করা উচিত। তাড়াহুড়ো না করে ব্রাশ করতে হবে অন্তত দুই মিনিট সময় ধরে।
মাসিকের সময় প্রয়োজন বাড়তি খেয়াল
মাসিকের সময় তোমাদের বয়সী কিশোরীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি দিতে হয় বাড়তি খেয়াল। নির্দিষ্ট সময় পরপর মাসিকে ব্যবহৃত প্যাড, ট্যাম্পন বদলানো, ব্যবহার শেষে সঠিক ভাবে ডাম্প করা থেকে শুরু করে ব্যবহৃত কাপড় বিছানার চাদর নিয়মিত ধুয়ে ফেলা সবকিছুর প্রতিই দিতে হবে সমান গুরুত্ব।
শেভিং করে নাও সময় মতো
বয়ঃসন্ধিতে তোমাদের বয়সী কিশোর-কিশোরীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোম ( Pubic hair, Axial hair) উঠতে শুরু করে। নির্দিষ্ট সময় পরপর এসব লোম শেভিং এর মাধ্যমে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। তা না হলে এসব স্থানে হওয়া ঘামের মধ্যে জন্মাবে ব্যাকটেরিয়া যার মধ্যে এসব স্থানে দুর্গন্ধ ছড়াবে। তাই এই সময়টিতে নিজেদের জন্য বেছে নাও ভালো মানের রেজার ও শেভিং ক্রিম।
ওয়েট ড্রিম হলে দ্রুত করে নাও স্নান
বয়ঃসন্ধির এই সময়টায় তোমাদের শরীরে ঘটে হরমোনের ব্যালেন্সের তারতম্য। যার ফলে রাতে ঘুমের মাঝে হতে পারে ওয়েট ড্রিম। এটি টিনএজে অতি সাধারণ একটি বিষয় তাই ওয়েট ড্রিম হলে দ্রুত স্নান করে নিতে হবে। সেই সাথে পোশাক ও বিছানার চাদরও ধুয়ে ফেলতে হবে।
আশা করি এই গাইডলাইনগুলো তোমাদের বয়ঃসন্ধির এই স্পর্শকাতর সময়ে সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। পরবর্তী ব্লগে ফিরে আসবো নতুন কোনো বিষয় নিয়ে।