যোগাযোগে দক্ষ হয়ে উঠতে জেনে নাও এই ৫টি টিপস 

ব্যক্তি জীবন, শিক্ষা জীবন বা পেশা জীবন, সব ক্ষেত্রেই যোগাযোগ দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রকাশ করতে পারা একটি চমৎকার গুণ। ব্যক্তি জীবন, শিক্ষা জীবন বা পেশা জীবনে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি তুমি খুব সহজেই সামলাতে পারবে যদি তোমার যোগাযোগ দক্ষতা ভালো হয়। 

যোগাযোগ দক্ষতা কী

সহজ ভাষায় যোগাযোগ দক্ষতা বলতে বোঝায় – অন্যের দেওয়া তথ্য সঠিকভাবে বুঝতে পারা এবং তুমি নিজে যা বলতে চাও তা সহজ, স্বচ্ছ ও আকর্ষণীয়ভাবে অন্যকে বুঝিয়ে বলতে পারার দক্ষতা। এবার চলো জেনে নেওয়া যাক যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ানোর কয়েকটি টিপস।

যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধির ৫ টিপস

হয়ে ওঠো ভালো শ্রোতা

মনোযোগ দিয়ে অন্যের কথা শোনা কিন্তু একটি চমৎকার গুণ। যেটি তোমার যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। একজন ব্যক্তি যখন তোমাকে কিছু বলছে, তখন তোমার উচিৎ তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং সে আসলে কী বোঝাতে চাচ্ছে তোমাকে, সেটি বোঝার চেষ্টা করা। কখনোই কাউকে কথার মাঝে থামিয়ে দিয়ে নিজে কথা বলার চেষ্টা করা উচিৎ না। তার কথা শেষ হলেই তুমি কথা বলতে পারো। 

সহজ ও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলো 

কথা বলার সময় চেষ্টা করবে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে। পাশাপাশি শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেছে নাও তুলনামূলক সহজ শব্দকে। এতে করে তুমি যা বলতে চাচ্ছো, বোঝাতে চাচ্ছো, তা অন্যদের বুঝতে সহজ হবে। অপরদিকে তুমি যদি শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার না করো এবং তুলনামূলক কঠিন শব্দ ব্যবহার করো তাহলে তোমার কথা বুঝতে পারা অন্যদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। 

দ্রুত কথা বলা থেকে বিরত থাকো

সহজ ও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার পাশাপাশি ধীরে ধীরে কথা বলার অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে। দ্রুত কথা বললে কথা বুঝতে পারা কঠিন হয়ে যায়। তুমি যদি ধীরে ধীরে কথা বলো, তখন তোমার কথা অন্যের পক্ষে বোঝা সহজ হয়ে যাবে। 

মানসিক অস্থিরতা কমিয়ে ফেলো 

মানসিকভাবে যদি তুমি অস্থিরতায় ভোগো, তাহলে যোগাযোগ কখনোই ভালো হবে না। শুধু যোগাযোগের ক্ষেত্রেই নয়, সকল কাজের ক্ষেত্রেই তোমাকে মানসিক অস্থিরতা কমাতে হবে। মানসিক অস্থিরতায় ভুগলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে যায়, সঠিক কাজ করাও কঠিন হয়ে যায়। কাজে ভুল হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায় অনেকগুণ। তুমি যদি মানসিকভাবে স্থির হও তাহলে অন্যের কথা বুঝতে পারা এবং নিজের কথা বুঝিয়ে বলতে পারা তোমার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। 

ভুল থেকে শেখা 

সব কিছুই যে সব সময় সঠিক ভাবে হবে, তা কিন্তু নয়। আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে অনেক কাজেই ভুল করি। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ভুল হয়ে যায় অনেক সময়। ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সেই ভুল থেকে আমরা কতটুকু শিখছি বা নিজেকে কতটুকু সংশোধন করছি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে সংশোধন করলে পুনরায় সেই একই ভুল করার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়। 

প্রিয় কিশোর-কিশোরী বন্ধুরা, এই টিপসগুলো যদি তোমরা মেনে চলো, তাহলে আশা করি তোমাদের যোগাযোগের দক্ষতার ক্ষেত্রে তুমি আগের থেকে বেশি সক্ষমতা অর্জন করবে। 
-শারমিন কবীর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *