যৌনবাহিত রোগ কী?
সাধারণত যে সব রোগ এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে যৌন মিলনের সময় সংক্রমনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, সে সব রোগকে যৌনবাহিত রোগ বলে।
তবে, যৌনবাহিত রোগ যৌনমিলন ছাড়াও একজন থেকে আরেকজনের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেমন – যৌনরোগ হয়েছে, এমন ব্যক্তির রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্যজনের দেহে প্রতিস্থাপন করা হলে, যৌনরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সুচ ও সিরিঞ্জ জীবাণুমুক্ত না করে অন্যজনের দেহে পুশ করলে, যৌনরোগ সংক্রমিত গর্ভবতী মায়ের কাছ থেকে গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর মধ্যেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
যৌনরোগ হলে শরীরের বিভিন্ন অংশে সংক্রমণ হতে পারে।
প্রিয় বন্ধুরা, আজ আমরা কয়েকটি যৌনবাহিত রোগের লক্ষণ এবং সে সব রোগ প্রতিরোধের উপায় এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানবো।
সিফিলিস
যৌনবাহিত রোগসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি মারাত্মক রোগ হল সিফিলিস। এটি একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ৷ এই ব্যাকটেরিয়ায়র নাম ট্রিপোনেমা প্যাল্লিডাম।
সিফিলিস কীভাবে ছড়ায়?
অনিরাপদ যৌনমিলন বা সংক্রমিত ব্যাক্তির সঙ্গে যৌনমিলনের ফলে এই রোগ ছড়িয়ে থাকে। শুধু যৌনমিলনের ফলেই এই রোগ হয়, তা কিন্তু নয়। রক্তদানের সময় একই সূঁচ ব্যবহার করলেও এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।
লক্ষণ
এই রোগের প্রথম ধাপ কে প্রাইমারি সিফিলিস বলা হয়। এই ধাপে যৌনাঙ্গ বা মুখের আশে পাশে যন্ত্রণাহীন কালশিটে দাগ পড়তে দেখা যায়। দাগগুলি ২ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে আবার মিলিয়ে যায়।
দ্বিতীয় ধাপকে বলে সেকেন্ডারি সিফিলিস। এই ধাপের লক্ষণ প্রথম ধাপ থেকে আলাদা হয়। এই ধাপে ত্বকে ফুসকুড়ি, গলা ব্যথার মতো লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়। আবার কয়েক সপ্তাহের মাঝে এটি কমে যায়। তবে পুরোপুরি চলে না গিয়ে এটি সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায়।
তৃতীয় ধাপটি হলো সবচেয়ে মারাত্মক পর্যায়। প্রতি তিন জন সিফিলিস আক্রান্ত রোগী যারা এর চিকিৎসা করেন না তাদের ক্ষেত্রে এই ধাপটি দেখা যায়। এটি মস্তিষ্ক, চোখ এবং শরীরকে গুরুতর ভাবে ক্ষতি করতে পারে৷
প্রতিকার
উপরে আলোচিত লক্ষণগুলি প্রকাশ পেলে যৌন স্বাস্থ্য ক্লিনিক বা ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে অ্যান্টিবায়োটিক ও পেনিসিলিন ইনজেকশনের মাধ্যমে সিফিলিস সারিয়ে তোলা যায়। তবে যদি সিফিলিস রোগের চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
-শারমিন কবীর