‘জলে-ডাঙ্গায়’ খেলার নাম শুনে মনে হতে পারে জলে নামা ও ডাঙ্গায় ওঠার সাথে সম্পর্ক রয়েছে। ব্যাপারটা কিছুটা সেরকমই। যেকোনো বয়সের মানুষ এ খেলায় অংশগ্রহণ করে আনন্দ উপভোগ করতে পারে। বন্ধুরা, চলো জলে ডাঙ্গা খেলার নিয়ম শিখে নিই।
দল গঠন :
জলে-ডাঙ্গা খেলায় কোনো পক্ষ বিপক্ষ দল থাকে না। এ খেলায় খেলোয়াড়ের কোনো সংখ্যা সীমা নেই। তবে সবাই মিলে যেকোনো একজনকে প্রধান হিসেবে নির্বাচন করে।
খেলার প্রস্তুতি :
মাঠ যুরে গোল দাগ টানা হয়। গোলের ভিতরের অংশকে জল এবং গোলের বাইরের অংশকে ডাঙ্গা কল্পনা করা হয়। সব খেলোয়াড় গোলের চারপাশে দাড়ায় এবং যে নির্দেশ দিবে বা জলে ডাঙ্গা বলবে সে কাছে কোথাও দাড়ায়।
মূল খেলা :
নির্দেশকের কথামত খেলা শুরু হয়। এবারে যে প্রধান হয়েছে সে ‘জলে’ বলার পর সবাই লাফ দিয়ে গোলের ভেতরে ঢুকবে। আবারো ‘ডাঙ্গায়’ বলার পর সব খেলোয়াড় গোলের বাইরে লাফ দিয়ে চলে যাবে। লাফ দেওয়া পর কোনো ভাবেই দাগে পা দিলে সে খেলোয়াড় বাদ হয়ে যাবে। ‘জলে’ বলার পর সাথে সাথে জলে এবং ‘ডাঙ্গায়’ বলার পর সাথে সাথে ডাঙ্গায় চলে যেতে হবে, যদি যেতে দেরি হয় তবে সে খেলোয়াড়ও বাদ পরে যাবে। যে প্রধান সে সবাইকে দ্রুত গতিতে ‘জলে’ বা ‘ডাঙ্গায়’ বলে বা পর পর একাধিক বার ‘জলে-জলে’ বা ‘ডাঙ্গায়-ডাঙ্গায়’ বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। ‘জলে’ বলার পর কেউ ডাঙ্গায় বা ‘ডাঙ্গায়’ বলার পর জলে কেউ অবস্থান করলে সে বাদ পরে যাবে। এভাবেই খেলা চলতে থাকবে, শেষ পর্যন্ত যে খেলোয়াড় টিকে থাকবে সে হবে বিজয়ী।
‘জলে-ডাঙ্গা’ খেলা আমাদের কোনো নির্দেশনা শুনে তাড়াতাড়ি কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলে। ‘জলে-ডাঙ্গা’ খেলা আরও অনেক যায়গায় অনেক রকম করে খেলা হয় যেমন- ‘পাখি উড়ে’: উড়তে পারে এমন প্রাণির নাম শুনলে দুই হাত পাখির মত মেলে ধরতে হয়, ‘in & out’: ‘in’ বললে দাগের ভেতর এবং ‘out’ বললে দাগের বাইরে লাফ দিয়ে যেতে হয় যা অনেকটা ‘জলে-ডাঙ্গার’ মতই। এই খেলাটি তোমাদের কেমন লেগেছে আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো।
আশা করি এই লেখাটি তোমাদের ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারো। এরকরম আরো মজার মজার আইডিয়া জানতে এবং ব্লগ পড়তে ভিজিট করো the7teen.com