মাইশা ছোটবেলা থেকেই ক্রিম বা লোশন লাগাতে একদমই পছন্দ করে না। ক্রিম লাগানো নিয়ে তার মায়ের সাথে প্রায়ই মন কাটাকাটি হতো তার, কারণ মা জোর করে ক্রিম লাগিয়ে দিতো মাইশাকে। কিন্তু হঠাৎ মাইশার মাঝে এক বিশাল পরিবর্তন এলো, এখন সে সময় পেলেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, ক্রিম লোশন তো ব্যবহার করে এই, কিছুদিন আগে মা-কে বললো তাকে পার্লারে নিয়ে ফেসিয়াল করিয়ে আনতে।
বয়ঃসন্ধিকালে টিনেজারদের মাঝে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। ছোটবেলায় সাজগোজ করার ইচ্ছা থাকুক বা না থাকুক, বয়ঃসন্ধিকালে বেশিরভাগই সচেতন হয়ে উঠে নিজেকে সুন্দর দেখাতে। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার, এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। বরং এই সময় শরীরে হরমোনাল এমন কিছু পরিবর্তন আসে যে,আলাদা ভাবে নিজের যত্ন নেয়াটা আবশ্যক হয়ে উঠে। কিন্তু ত্বকের যত্ন বলতে কি শুধু পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করিয়ে আসা বোঝায়? সাধারণত টিনএজারদের স্কিন কেয়ারে প্রোফেশনাল ট্রিটমেন্ট এর দরকার পরে না, বরং বাসায় বসেই নেওয়া যায় নিজের ত্বকের যত্ন। কিভাবে? চলো দেখে নিই।
বয়ঃসন্ধিকালে ত্বকের যত্ন নেয়ার নিয়ম
১. প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এজন্য ব্যবহার করতে পারো মাইল্ড ফেসওয়াশ কিংবা মাইল্ড কোনো ত্বকের সাবান। সকালে এবং রাতে দুইবার মুখ ধুয়ে নিবে। এতে করে পিম্পল এর মতো সমস্যা গুলো প্রতিরোধ করতে পারবে।
২.ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবে প্রতিবার ফেসওয়াশ ইউজ করার পর। এতে স্কিন কোমল থাকবে, খসখসে হবে না।
৩. প্রতিদিন সানস্ক্রিন ইউজ করতে হবে। এতে করে রোদে পোড়াভাব ও কমবে, পাশাপাশি স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কম থাকবে।
৪. প্রতিদিন পরিমিত সুষম খাবার খাবে। বেশি করে শাকসবজি, ফলমূল খাবে। এতে থাকা ভিটামিন স্কিন এর জন্য ভীষণ উপকারী। তাছাড়া পরিমিত পরিমাণে পানি পান করাটাও জরুরি
৫. নিয়মিত গোসল করবে, এতে পরিষ্কার থাকবে স্কিন, পাশাপাশি সতেজ থাকবে মন ও শরীর।
নিয়মিত এই বিষয়গুলো মেনে চললে স্কিন ভালো থাকবে, সাথে ভালো থাকবে স্বাস্থ্য ও মন। কিন্তু যদি এসময় ত্বকের যত্ন না করা হয়, তবে ভবিষ্যতে তা ত্বকের স্বাস্থে প্রভাব ফেলতে পারে। ত্বকে বয়সের ছাপ ও বলিরেখার মতো সমস্যা গুলো প্রতিরোধ করতে নিয়মিত অল্প অল্প করে ত্বকের যত্ন নেয়া উচিত।
তাই, নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিয়ে সুস্থ ও সুন্দর থাকো।
আশা করি এই লেখাটি তোমাদের ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারো। এরকরম আরো বিষয়ে জানতে এবং ব্লগ পড়তে ভিজিট করো the7teen.com