বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করনীয়
- সরকার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বেশ কিছু আইন প্রণয়ন করেছে, যার মধ্যে অন্যতম, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন। এই আইন ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের এবং ২১ বছরের কম বয়সী ছেলেদের বিয়ে নিষিদ্ধ করে। এই আইন সম্পর্কে মানুষকে আরো বেশি করে জানাতে হবে।
- আইনের যথাযথ প্রয়োগ সুনিশ্চিত করতে হবে।
- বাল্যবিবাহের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সমাজের সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করতে হবে।
- বাল্যবিবাহের অন্যতম প্রধান কারণ শিক্ষার অভাব। তাই কোনো শিক্ষার্থী যেন ঝরে না পড়ে, সেদিকে শিক্ষকদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
- সবার মাঝে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে যাচ্ছে। তবে এটিকে আরো বিস্তৃত করতে হবে।
- বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে ক্লাসে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জানাতে পারেন।
- ‘বিয়ে দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে’ – যে কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের এমন সমাধান খোঁজা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কিশোর-কিশোরীদের করনীয়
প্রিয় কিশোর-কিশোরী বন্ধুরা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তোমরা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারো।
- যদি জানতে পারো, তোমাদের কোনো বন্ধু বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক কাউকে তার পরিবার বিয়ে দিচ্ছে, তোমরা দ্রুত তোমাদের শিক্ষদের সাথে যোগাযোগ করতে পারো। তাদের সহায়তা নিয়ে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করতে পারো।
- এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যানেকে জানাতে পারো। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিতে পারো।
- জরুরি প্রয়োজনে কল করতে পারো ৯৯৯ এ। এই হেল্পলাইনে কল করে সহযোগিতা চাইতে পারো।
- তোমাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীকে বাল্যবিবাহের কুফল নিয়ে সচেতন করতে পারো।
- তোমাদের কোনো স্বেচ্ছাসেবী ক্লাব থাকলে, ক্লাবের পক্ষ থেকে সপ্তাহের একটা দিন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি করতে পারো।
ভালো লাগলে ব্লগটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের শেয়ার করতে ভুলোনা। আরো ব্লগ পড়তে ভিজিট করতে পারো the7teen.com