জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স বা লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা কী
পুরুষ ও নারীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা বা লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতে একজন ব্যক্তির উপর যে সহিংসতা হয় তাকে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা বা জেন্ডার বেসড ভায়োলেন্স বলা হয়। এটি নারী,পুরুষ নির্বিশেষে যেকোনো লিঙ্গ পরিচয়ের মানুষের উপরেই হতে পারে।
এটি মানবাধিকারের সবচেয়ে গুরুতর লঙ্ঘনের একটি।
লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার ধরন
লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা একজন ব্যক্তির জীবনে যে কোন সময়ে, বিভিন্ন ধরনে ঘটতে পারে।যেমনঃ শারীরিক, মানসিক, যৌন এবং অর্থনৈতিক। ভাষা বা আচরণ যেকোনোভাবেই সহিংসতা হতে পারে। এটি সরাসরি বা অনলাইনে, যেকোনো মাধ্যমে হতে পারে। কয়েকটি লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার কয়েকটি উদাহরণ এখানে তুলে ধরা হলো, যেমনঃ
- যৌন নিপীড়ন
- মারধর
- অর্থনৈতিক শোষণ
- সাইবার হ্যারাজমেন্ট
- মানব পাচার
- স্টকিং
- মনস্তাত্ত্বিক বা মানসিক সহিংসতা
- সঙ্গী বা পারিবারিক সহিংসতা
- যৌন শোষণ
- জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি
- বাল্যবিবাহ
- জোরপূর্বক গর্ভপাত বা বন্ধ্যাকরণ
- শিশুহত্যা
- নারীহত্যাএবং আরও অনেক কিছু।
লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার প্রভাব
যারা লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়, তারা মানসিক এবং শারীরিক উভয়ভাবেই – নানা সমস্যায় সম্মুখীন হতে পারে। অনেক সময় সহিংসতার শিকার মানুষ বুঝতেও পারেনা যে সে সহিংসতার শিকার। কিন্তু এটি ব্যক্তির আত্নবিশ্বাস কমায়, নিজের ইচ্ছার উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা হারায়।
লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা অনেক সময় এতো গুরুতর হয় যে বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, শারীরিক আঘাত, এইচআইভির মতো যৌনবাহিত রোগ, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD), এমনকি আত্মহত্যা করার চিন্তার সম্মুখীন হতে পারে। লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার ফলে ব্যক্তির ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাঁধা আসে,ফলে ব্যক্তির বিকাশ ব্যাহত হয়।
লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার মুখোমুখি হয়ে নারীর আত্মহত্যার ঘটনাও আমাদের সমাজে বিরল নয়।
লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা বা জেন্ডার বেসড ভায়োলেন্স একটি সামাজিক সমস্যা এবং একটি অপরাধ। এই সমস্যাটি কমাতে হলে লিঙ্গ ভিত্তিক সমতা আনার বিকল্প নেই।
এই ব্লগটি কেমন লাগলো আমাদের লিখে জানাতে পারেন। ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধু/পরিবারের সাথে।
এরকম আরো বিষয় শিখতে হলে, জানতে হলে ভিজিট করুন the7teen.com