বয়সের এই পর্বে অনেক সময় আমাদের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। বন্ধুদের চাপ, সামাজিক প্রত্যাশা বা কোনো অনৈতিক প্রস্তাব—এসবের সম্মুখীন হলে ‘না’ বলা খুব জরুরি। কোনো কাজ বা প্রস্তাব অপছন্দ করলেন সেটিকে সম্মতি দেয়া ঠিক নয়। তোমার কাছে অস্বস্তিকর হবে এমন কাজকে যথাযথ ভাবে না করতে হবে। মনে রাখবে, তোমার মতামত গুরত্বপূর্ণ।
নিজের সীমা নির্ধারণ করো
প্রথমে বোঝো, তোমার শারীরিক ও মানসিক সীমা কী। যা তোমার জন্য অস্বস্তিকর, সে সম্পর্কে সচেতন থাকো। শরীরের একটা সীমা বা সেইফ স্পেস আছে। দুইহাত প্রসারিত করলে যতটুকু যায়গা হয় এটুকু একজন মানুষের শারিরীক সীমা।
সাহসী হও
‘না’ বলার সময় মনে রাখবে, এটি তোমার অধিকার। ‘না’ বলার পর নিজের কাছে স্বাভাবিক ভাবেই খারাপ লাগতে পারে যে আশেপাশের মানুষ তোমার মতামতকে কি মনে করতে পারে। এমন সময় যে কারো দেওয়া অনৈতিক প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করাটা ঠিক হয়েছে কিনা সেটা মনে হতে থাকে। তাই নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
প্রয়োজন হলে ব্যাখ্যা করো
তুমি যদি চাও তবে ‘না’ বলার পর ছোটো করে কারণ জানাতে পারো। যেমন “আমি এতে স্বস্তি অনুভব করছি না” বা “এটা আমার জন্য সঠিক নয়”। তাই যখন তুমি ‘না’ বলবে তখন অন্যের অনুভূতিকে সম্মান করো।
এটি স্বাভাবিক করো
‘না’ বলার অভ্যাস গড়ে তলো। যখন তুমি এটি করবে, তখন অন্যরা তোমার সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে শিখবে। তাই সব বিষয়ে সীমা নির্ধারন করা শিখতে হবে।
সাহায্য নাও
কখনো ‘না’ বলার সময় অভিভূত লাগতে পারে। সে কারণে যদি তুমি একা অনুভব করো তবে বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলো। তাদের সমর্থন তোমাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে।
‘না’ বলা আমাদের সমাজে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হওয়া উচিত। নিজের মত প্রকাশ তোমার ব্যক্তিত্বের অংশ। আমাদের আশেপাশে মানুষ অনেক সময় অনৈতিক কথা বলে, কারো সম্পর্কে খারাপ মন্তব্যকে মজা করার চেষ্টা করে। সেসব কথার প্রতিবাদ জানাতে হবে।
আশা করি এই লেখাটি তোমাদের ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারো। এরকরম আরো মজার মজার আইডিয়া জানতে এবং ব্লগ পড়তে ভিজিট করো the7teen.com