Rejection বা প্রত্যাখ্যান সবার জন্যেই বেদনাদায়ক।
রিজেকশন অনেক ধরনের হতে পারে। বিশেষ করে টিনএজে তোমাদের পছন্দের স্কুলে ভর্তি হতে না পারা, স্কুলের প্রিয় দলে খেলার সুযোগ না পাওয়া, পছন্দের সঙ্গীর কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়া, বন্ধুদের কাছ থেকে কোনো বিষয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়া, সামাজিকভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়া ইত্যাদি।
তবে, টিনএজে কিশোর-কিশোরীদের প্রত্যাখ্যানের সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিষয়টি হলো পছন্দের সঙ্গীর কাছ থেকে নিজের অনুভূতির যথার্থ প্রতিদান না পাওয়া।
কেউ প্রত্যাখ্যাত হতে পছন্দ না করলেও এটি জীবনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই কীভাবে রিজেকশনের বিষয়টি মেনে নিতে হবে বা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে হবে তা শেখা গুরুত্বপূর্ণ।
আজ তোমাদের জন্য থাকছে প্রত্যাখ্যানের পর আসা আবেগগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার কিছু উপায়।
বিশ্বস্ত কারো সাথে শেয়ার করো
প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারো তোমার বিশ্বস্ত কোনো ব্যক্তির সাথে। এই মানুষটি হতে পারে তোমার পরিবারের কেউ অথবা তোমার আত্মীয়দের মাঝে কেউ, যাকে বিশ্বাস করা যায়। এর ফলে তারা তোমাকে ইতিবাচক পরামর্শ এবং মানসিকভাবে সহায়তা করতে সক্ষম হবে।
নিজের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবো
প্রত্যাখাত হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে তোমার ভবিষ্যৎ এবং ক্যারিয়ার নিয়ে মনোযোগী হও। মনে রাখবে তোমার জীবনে রিজেকশনের বিষয়টিই একমাত্র বিষয় নয়। জীবনে চলার পথে তোমার প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হবে, তাদের মাঝে কেউ কেউ স্থায়ী হবে এবং কেউ কেউ স্থায়ী হবে না, এই বিষয়টি মেনে নিয়েই তোমাকে এগিয়ে যেতে হবে।

নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো
প্রায়ই দেখা যায় পছন্দের ব্যক্তির কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর কিশোর-কিশোরীদের মাঝে “আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না” মনোভাব চলে আসে। যার ফলে তারা ধীরে ধীরে নিজের উপর বিশ্বাস হারাতে শুরু করে। পর্যায়ক্রমে যে কোনো কাজে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যায় যার সরাসরি প্রভাব পড়ে পড়ালেখা এবং ব্যক্তিগত জীবনে। সৌদি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রের তথ্য অনুযায়ী আত্মবিশ্বাসের অভাব ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার রেজাল্টের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই প্রত্যাখ্যাত হলে কোনোভাবেই নিজের ওপর থেকে বিশ্বাস হারানো যাবেনা।
পরিবার ও কাছের বন্ধুদের সাথে সময় কাটাও
পরিবারের সবার সাথে সময় কাটানো, তাদের সাথে গল্প করা, একসাথে খাবার তৈরি করা এবং খেতে বসা, এই সময়টাতে তোমাকে বেদনাদায়ক অনুভূতি থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে। প্রিয় বন্ধু বা সহপাঠীদের সাথে আড্ডা দেয়া বা কোথাও ঘুরতে যেতে পারো, এতে তোমার মন রিজেকশনের বিষয়টি থেকে অনেকটাই সরে আসবে।
শখের বিষয়গুলো নিয়ে সময় কাটাও
শখের বিষয় যেমন গল্পের বই পড়া, বাগান করা, ছবি আঁকা, পশু-পাখি পালন করা, আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এগুলোর রয়েছে ইতিবাচক একটি প্রভাব। এই সব বিষয়গুলোর মাঝে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করো। এর মাধ্যমে নিজেকে নেতিবাচক চিন্তাধারা থেকে দূরে রাখতে পারবে।
– মোঃ রাফসান তালুকদার
(রিসার্চার, মেডিক্যাল প্রফেশনাল)