কৈশোরের বাজেট ভাবনাঃ সঠিক ভাবে টাকা খরচ ও জমানোর উপায়

মানি ম্যানেজমেন্ট বা বাজেট করে চলার বিষয়টি কি তোমার প্রায়োরিটি লিস্টে আছে? যদি না থাকে তবে বলবো তোমাদের টিনএজ বয়সের সাথে আমার টিনএজ বয়সের এই জায়গায় মিল আছে! 

কিন্তু সত্যি বলতে বাজেট করতে পারা কিন্তু একটি চমৎকার বিষয়। যা সব বয়সীদের জন্যই প্রয়োজন। টিনএজারদের তো আরো বেশি প্রয়োজন। 

আমাদের আজকের বিষয় কীভাবে তুমিও পারো বাজেটিং শিখতে! 

বাজেট কেন জরুরি?

তোমরা নিশ্চয় মিতব্যয়িতা বা বুঝেশুনে খরচ করা সম্পর্কে জানো। মিতব্যয়ী হতে চাইলে তোমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে একটি পরিকল্পিত বাজেট। 

এছাড়া, অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী ও দায়িত্ববান হতেও বাজেট করে চলার তুলনা হয় না। 

এর পাশাপাশি, বাজেটের মাধ্যমে তুমি আরো শিখতে পারবে-

  • শৃঙ্খলা ও ধৈর্য্য ধারণ
  • দায়িত্ববোধ
  • স্বাবলম্বী হওয়ার গুরুত্ব 

কীভাবে বাজেট করবে?

১। আয় কিংবা বর্তমান সঞ্চয়ের হিসেব বের করোঃ প্রথমেই বের করতে হবে এখন তোমার  কাছে কত টাকা আছে। হতে পারে সেটা তোমার পকেট মানি, টিফিনের জমানো টাকা, সালামি বা ছোটো ভাই-বোনকে পড়ানোর সম্মানি। বের করার চেষ্টা করো এর মধ্যে কতো পরিমাণ তুমি নিয়মিত পাও অথবা মাসে কত টাকা তোমার হাতে আসে। 

২। খরচের লিস্ট তৈরি করোঃ এরপর তৈরি করো খরচের লিস্ট। সেটাকে আবার দুই থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিতে পারো। যেমনঃ আবশ্যক, বিনোদন, চ্যারিটি ইত্যাদি। 

৩। বাজেট নিয়ে প্ল্যানঃ এখন যেহেতু তুমি নিজের আয় ও ব্যয়ের আইডিয়া পেয়েছো, এখন ত্যোমার নেক্সট স্টেপ হবে রিয়েলিস্টিক একটি বাজেট প্ল্যান করা। তুমি কত টাকা জমাতে চাও, তার পরিপ্রেক্ষিতে লংটার্ম ও শর্টটার্ম কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলো। 

৪। প্ল্যান অনুযায়ী কাজঃ প্ল্যান তো রেডি, তাহলে কি হয়ে গেলো বাজেটিং? উহু, আসল কাজ শুরু হবে এখন থেকে। চেষ্টা করো যথাসম্ভব প্ল্যান মেনে চলতে। এক্ষেত্রে কাছের কোনো বন্ধুকে রাখতে পারো অ্যাকাউন্টিবিলিটি পার্টনার হিসেবে, যে মাস শেষে চেক করবে তুমি কতটা প্ল্যান অনুসারে চলতে পেরেছো। যদি প্ল্যান অনুসারে চলতে না ও পারো, তবু হাল ছাড়বে না, প্রয়োজনে প্ল্যানে পরিবর্তন আনো।

শেষকথা

অনেক সময় বড়োরাও অহেতুক টাকা খরচ করে ফেলে। আর টিনএজ তো আবেগের তারতম্যের বয়স। এই বয়সে হাতে টাকা থাকলে সেটা খরচ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। 

কিন্তু বাজেট করা থাকলে এবং সেই বাজেটে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকলে দেখবে এক সময় তোমার একটি ভালো সেভিংস থাকছে। যা দিয়ে তোমার পছন্দের কোনো জিনিস কিনতে পারবে অথবা পরিবারের মানুষদের জন্য কোনো গিফট কিনতে পারবে। তাই এখন থেকেই শুরু করে দাও বাজেট প্র্যাক্টিস! 

– নাদিয়া নুসরাত

2 thoughts on “কৈশোরের বাজেট ভাবনাঃ সঠিক ভাবে টাকা খরচ ও জমানোর উপায়”

  1. I think money management is really important and I always try to avoid spending money on unnecessary product, now my friends thinks I’m a close fisted person!

  2. Every teenager should have knowledge of money management or budget. For that this of content would help so much.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *