সেক্সুয়াল রাইটস

ডিজিটাল যৌন অধিকার রক্ষায় অনলাইনে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ৭ টিপস!

সমুদ্রতীরে হেটেছো কখনো? লক্ষ্য করেছো, তোমার ফেলে আসা প্রতিটি পায়ের ছাপ কেমন স্পষ্ট রয়ে যায়?

অনলাইনে তোমার পোস্ট করা, ইনবক্স করা কিংবা সার্চ করা প্রতিটি বিষয়ও ঠিক তেমনই সংরক্ষিত থেকে যায়। এমনকি থেকে যায় তোমার ডিলিট করে দেওয়া বিষয়গুলোও!

অনলাইন একই সাথে অপার সম্ভাবনা ও নিরাপত্তাহীনতার এক স্থান। তাই, অনলাইনে তোমার নিরপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষায় সচেতন হতে হবে তোমাকেই। 

এখন আসা যাক ডিজিটাল যৌন অধিকার (Digital Sexual Rights) কী সেই বিষয়ে।  

এক কথায় ডিজিটাল যৌন অধিকার হলো, অনলাইনে যৌনতা কেন্দ্রিক সকল বিষয়ে নিরাপত্তার অধিকার। আজ তোমাদের জন্য থাকছে ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিরাপদ থাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও পরামর্শ। 

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড: সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ইমেইল অ্যাকাউন্টসহ সকল ধরনের ডিজিটাল অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করো শক্তিশালী পাসওয়ার্ড। শব্দ, সংখ্যা ও সিম্বলের সংমিশ্রনে তৈরি ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারো। প্রত্যেক অ্যাকাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা ভালো। 

টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন: এটি একটি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য কোনো ডিভাইস থেকে তোমার অ্যাকাউন্টে কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করলে মুহূর্তেই তোমার মোবাইলে নোটিফিকেশন চলে যাবে। প্রায় সব প্লাটফর্মেই রয়েছে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকো: যত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই হোক, ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিয়ো ইনবক্সে দেওয়া থেকে বিরত থাকো। আজ ভালো সম্পর্ক, কিন্তু কাল যদি ভালো সম্পর্ক না থাকে? তোমার ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিয়ো যদি ঐ ব্যক্তি কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে?

অপিরিচিত Wi-fi এড়িয়ে চলো: সবাই এখন Wi-fi ব্যবহারে অভ্যস্ত। কিন্তু তুমি কি জানো হ্যাকাররা Wi-fi এর মাধ্যমেও ফাঁদ পাততে পারে? তাদের দেয়া ফ্রি Wi-fi এ কেউ কানেক্ট হলে মুহূর্তেই তার ডিভাইস ও সকল অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে হ্যাকরদের কাছে। তাই, এই বিষয়ে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। 

ফোন ও অ্যাপস আপডেটেড রাখো: হ্যাকার ও নানারকম ভাইরাস থেকে তোমার ফোনকে নিরাপদ রাখতে সিস্টেম ও অ্যাপলিকেশন গুলো নিয়মিত আপডেটেড রাখো। 

অপরিচিত ইমেইল এড়িয়ে চলো : হ্যাকার ও স্প্যামারদের কাজের অন্যতম সিস্টেম হলো ইমেইলে বিভিন্ন ধরনের লিংক পাঠানো। কেউ এসব লিংকে ক্লিক করলে মুহূর্তেই অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রন চলে যাবে হ্যাকারের কাছে। 

রিকভারি ইমেইল/মোবাইল নম্বর যুক্ত করে রাখো : পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া কিংবা হ্যাকিং এর শিকার হওয়ার মতো পরিস্থিতি গুলো থেকে অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারে যুক্ত করে রাখো রিকোভারি ইমেইল ও মোবাইল নম্বর।

এছাড়া ডিজিটাল প্লাটফর্মে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম বিভাগের সহযোগিতা নিতে পারো। সাইবার বিভাগ তাদের হেল্প ডেস্ক, হটলাইন নম্বর, ই-মেইল, হ্যালো সিটি অ্যাপস এবং বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাদের সাইবার সিকিউরিটি পরিষেবা দিয়ে থাকে। তোমাদের সুবিধার্তে দেওয়া হলো তাদের ওয়েবসাইট এড্রেস (http://cttcdmp.gov.bd/ ) ও ফোন নাম্বার (+8801320046500 )।

– মোঃ রাফসান তালুকদার

(রিসার্চার, মেডিক্যাল প্রফেশনাল)

admin

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like

সেক্সুয়াল রাইটস

সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট বা যৌন হয়রানি কী? (পর্ব -১)

তুমি যদি পত্রিকা পড়ো বা টিভি নিউজ দেখো, অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকো, তাহলে তোমার চোখে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট
সেক্সুয়াল রাইটস

সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট বা যৌন হয়রানি কী? (পর্ব -২)

যৌন হয়রানির শিকার হলে তুমি কী করবে?   যৌন হয়রানির শাস্তি  বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে যৌন হয়রানির শাস্তি হিসেবে ৩ মাস