পজিটিভিটি একটি প্রদীপের মতো। পজিটিভ চিন্তাশক্তির দ্বারা অসম্ভব কেও সম্ভব করা যায়।
‘পাওয়ার অব পজিটিভিটি’- নামক বিখ্যাত বইটির লেখক নরম্যান ভিনসেন্ট উল্লেখ করেন, ‘তুমি যখন পজিটিভ কিছু আশা করো তখন তুমি তোমার ভেতর একটি চৌম্বকীয় শক্তির সৃষ্টি করো, যা প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে কেবল ভালো জিনিস গুলোকেই তোমার কাছে নিয়ে আসে’।
তাই, ভালো কিছু অর্জনের পথে সততা ও পরিশ্রমের পাশাপাশি তোমার থাকতে হবে পজিটিভ চিন্তা করার অভ্যাস।
জীবন চলার পথে আসতে পারে অনেক কঠিন পরিস্থিতি, এই সময়গুলোতে অস্থিরতার পরিবর্তে পজিটিভ চিন্তার মাধ্যমে তুমি সহজেই সামলে নিতে পারো কঠিন সেসব মুহূর্ত।
পজিটিভ চিন্তা বাড়িয়ে দেয় সফলতার সম্ভাবনা
‘জার্নাল অব রিসার্চ অ্যান্ড রিফ্লেকশন ইন এডুকেশন’- নামক একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়, যেসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার আগে পজিটিভ চিন্তা করে, তাদের স্ট্রেস লেভেল অনেক কম থাকে। যার ফলে তাদের পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ চিন্তা করা শিক্ষার্থীদের থেকে অনেক ভালো হয়। স্ট্রেস কম হলে তোমার কনফিডেন্স লেভেল বৃদ্ধি পাবে এবং রাতে ভালো ঘুম হবে। ফলে, পরীক্ষার দিন তোমার মেজাজ থাকবে ফুরফুরে। যার ফলে তোমার পরীক্ষা ভালো হবেই!

স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
জন হপকিন্স স্কুল অব মেডিসিনের প্রকাশিত একটি রিসার্চ আর্টিকেলে বলা হয়, পজিটিভ চিন্তার ফলে মানুষের হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে এবং নানান অবসাদজনিত সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই কমে যায়। ইউনিভার্সিটি অব কেনসাসের আরেকদল গবেষক দেখেন যে, নিয়মিত হাসি এমনকি মিথ্যে হাসির অভিনয়ও মানসিক চাপ কিংবা অস্থিরতার মুহূর্তে কমিয়ে আনে হার্ট-রেট এবং রক্তচাপ।
দীর্ঘায়ু অর্জনে
পজিটিভ চিন্তা মানুষের গড় আয়ু বাড়িয়ে দেয়। কি, শুনতে অবাক লাগছে তো?
যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির কোহেন এবং প্রেসমেন নামক দুজন বিজ্ঞানী ২০০১ সালে নটরডেম শহরের কয়েকটি গির্জার ১৮০ জন নানের ওপর একটি গবেষণা দেখতে পান, পজিটিভ চিন্তার অধিকারী নানেরা নেগেটিভ চিন্তাকারী নানদের তুলনায় ১০ বছর বেশী সময় ধরে বেঁচে থাকেন। এর কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, পজিটিভ চিন্তা ধারার রয়েছে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার বিশেষ পারদর্শিতা। এখন তুমিই চিন্তা করে দেখো, পজিটিভ চিন্তার কত শক্তি!
ব্যর্থতা নিয়ন্ত্রণে পজিটিভ চিন্তার শক্তি
জীবনে সফলতার পাশাপাশি রয়েছে ব্যর্থতা। তবে, ব্যর্থতায় নিজেকে কীভাবে সামলে নিচ্ছো তার উপর নির্ভর করছে তোমার আগামীর সফলতা। ব্যর্থতার সেই স্পর্শকাতর সময়ে তোমাকে আবার নতুন করে শুরু করার অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে পজিটিভ চিন্তা।
তাই, নিজেকে পজিটিভ চিন্তার অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলো এবং উপভোগ করো প্রতিটি দিন।
– মোঃ রাফসান তালুকদার
(রিসার্চার, মেডিক্যাল প্রফেশনাল)