“পিরিয়ড” এই শব্দটির সাথে কি তোমরা পরিচিত?
অনেকেই হয়তো শুনেছো শব্দটি, কেউ কেউ হয়তো পিরিয়ড নিয়ে অনেক কিছুই জানো। আবার কারো হয়তো পিরিয়ড নিয়ে তেমন কোনো ধারণাই নেই। তাই আজ আমরা তোমাদের পিরিয়ড নিয়ে জানানোর চেষ্টা করবো।
পিরিয়ড কী?
প্রতি মাসে হরমোনের কারনে মেয়েদের যোনিপথ দিয়ে যে রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত তরল পদার্থ বের হয়ে আসে তাকে পিরিয়ড বলে। প্রতি মাসে হয় বলে একে বাংলায় মাসিকও বলা হয়ে থাকে। পিরিয়ড বা মাসিকের পাশাপাশি একে ঋতুস্রাব বা মেন্সট্রুয়েশনও বলা হয়ে থাকে।
কত বছর বয়সে পিরিয়ড হয়?
সাধারণত ৯-১৩ বছর বয়সের মধ্যেই মেয়েদের পিরিয়ড হয়ে থাকে। তবে শারীরিক গঠন এবং হরমোনাল কারণে বয়সের কিছু তারতম্য ঘটতে পারে।
পিরিয়ড কত দিন হয়?
পিরিয়ড সাধারণত ৩-৭ দিন স্থায়ী হয়। ২-১ দিন কম বেশি হতে পারে। পিরিয়ডের প্রথম ২ দিন রক্ত প্রবাহ বেশি থাকে। এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। পিরিয়ড ২৮ দিন পর পর চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে আগে পিছে হতে পারে।
পিরিয়ড হলে কী করবে?
পিরিয়ড নিয়ে একদমই কোনো ধারণা না থাকলে প্রথম পিরিয়ডের সময় অনেকেই ঘাবড়ে যায় বা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। তাই চলো জেনে নেওয়া যাক পিরিয়ডের সময়ে তুমি কী করবে।
- তোমার পরিবারের কারো সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে পারো। তারা তোমাকে সাহায্য করবেন।
- পিরিয়ডের সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য স্যানিটেশন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়। আমাদের দেশে বেশ কিছু স্যানিটেশন পদ্ধতি প্রচলিত আছে। যেমন স্যানিটারি ন্যাপকিন, মেন্সট্রুয়াল কাপ। যে স্যানিটেশন পদ্ধতির সাথে তুমি কম্ফোর্ট্যাবল, সেটি ব্যবহার করতে পারো।
- তবে যে পদ্ধতিই ব্যবহার করো না কেন, অবশ্যই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। যেমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করলে নির্দিষ্ট সময় পর তা চেঞ্জ করতে হবে।
- নিয়মিত গোসল করবে।
- বেশি বেশি পানি খাবে।
- পুষ্টিকর খাবার খাবে।
- পিরিয়ডের সময়ে মাথা ব্যথা, মাথা ঝিম ঝিম করা, পেট ব্যথা, অবসাদগ্রস্থ হওয়া, ঘুম কমে যাওয়া, এমন কিছু সমস্যা হতে পারে। সমস্যা বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারো।
- ব্যবহৃত ন্যাপকিন যেখানে সেখানে না ফেলে কাগজ বা পেপারে মুড়ে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবে। এতে করে জীবানু ছড়ানোর আশংকা থাকবে না।
পরের পর্বে তোমাদের জানাবো পিরিয়ড নিয়ে সমাজে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা।
(বিদ্রঃ পিরিয়ড নিয়ে আরো জানতে পড়তে পারো “ঋতু কমিক বই”। পিরিয়ডের পাশাপাশি বয়ঃসন্ধির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবে এই বইয়ে। বইটি পেতে ইনবক্স করো ঋতু-র ফেসবুক পেইজে। পেইজ লিংক – https://www.facebook.com/Wreetu.Book)