বয়ঃসন্ধিতে তোমার শারীরিক ও মানসিক যত্ন

খুব অল্পতেই রেগে যাওয়া, কোনো কারণ ছাড়াই হেসে ওঠা, কারো অল্প একটু ভালো ব্যবহারেই অনেক খুশি হয়ে যাওয়া আবার কারো অল্প অবহেলাতেই পাহাড় সমান অভিমান জমা! টিনএজ বয়সটাই এমন।

ইমোশনের এমন তারতম্যের মাঝে আবার যুক্ত হয় পড়ালেখার চাপ, পরীক্ষার টেনশন কিংবা সম্পর্কের টানাপোড়েন!

এসবই কিন্তু সরাসরি প্রভাব ফেলে তোমার  শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে। 

তাই, এই সময়ে নিজের প্রতি তোমাকে যত্নশীল হতে হবে। নিজের প্রতি যত্নশীল হলে যে কোনো পরিস্থিতিতেই তুমি থাকবে সতেজ এবং প্রাণবন্ত।

এজন্য তোমাকে কী করতে হবে? চলো, জেনে নিই –

হয়ে যাও সকাল বেলার পাখি: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক এক গবেষণায় দেখেছেন, যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা শিক্ষার্থীদের তুলনায় তাদের পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়! আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে ওঠে তারা অন্যদের তুলনায় সুস্থ ও মানসিক চাপ মুক্ত থাকে, আনন্দে থাকে। এখন তুমিই চিন্তা করো, তুমি সকাল বেলার পাখি হবে নাকি দেরি করে ঘুম থেকে উঠবে! 

নিয়মিত শরীর ও মস্তিষ্কের ব্যায়াম করো: তোমরা হয়তো ভাবছো শারীরিক ব্যায়ামের কথা তো অনেক শুনেছি, কিন্তু মস্তিষ্কের ব্যায়াম আবার কি? তাই না? মস্তিষ্কের ব্যায়াম হতে পারে বই পড়া, নতুন কিছু শেখা, বিভিন্ন ধরনের কুইজ, সুডকু গেমস খেলা এমনকি সৃজনশীল চিন্তা করাও এক প্রকার মস্তিষ্কের ব্যায়াম। এসবের মাধ্যমে আমাদের ব্রেইন যেমন রিল্যাক্সড হয় তেমনি বৃদ্ধি পায় এর কার্যক্ষমতা। এর পাশাপাশি প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তোলো।  

প্রকৃতির কাছে যাও : ২০১৯ সালে ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি’তে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, প্রকৃতির মাঝে ২০ মিনিট কাটাতে পারলে ‘স্ট্রেস হরমোন’ এর মাত্রা পাখির পালকের মতো উড়ে যায়। মানসিক প্রশান্তির অন্যতম প্রভাবক হচ্ছে প্রকৃতি। তুমি যতোটা প্রকৃতির মাঝে থাকবে তোমার মন ও মস্তিষ্ক থাকবে ততোটাই শান্ত।

মেডিটেশন করো কিংবা নিজের সাথে সময় কাটাও : মেডিটেশন শব্দটা তোমাদের জানা তবে এর আসল উদ্দেশ্য কিন্তু নিজের সাথে একান্ত সময় কাটানো। বিজ্ঞানীরা নানান গবেষনায় দেখেছেন ধর্মীয় চর্চা হচ্ছে মেডিটেশনের সবচাইতে কার্যকরী উপায়। মেডিটেশনের অনেক শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে। তাই শরীর ও মন উভয়ের যত্ন নিতে গড়ে তোলো নিয়মিত মেডিটেশনের অভ্যাস।

পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটাও : পরিবারের সদস্যদের সময় দাও, একসাথে বসে গল্প করো। বন্ধুদের সাথে মাঝে মধ্যেই দিয়ে দিতে পারো জম্পেস আড্ডা! তবে এ সময় গুলোতে চেষ্টা করবে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার।  
অন্যের উপকার করো : সুযোগ পেলেই অসহায়দের সাহায্য করো। যুক্ত হতে পারো কোন সামাজিক সংগঠনে। এমন কাজ মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।

cropped-Icon-1.png

7Teen is a platform for teenagers that creates high quality contents and offers online safe space for users to express themselves.

Useful Links


About


Contact


Privacy


FB Group


Wreetu.org


Wreetu Book

Subscribe Now

Don’t miss our future updates! Get Subscribed Today!




Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *