শীত আসলেই দেখা যায় আমাদের ঠোঁট ও ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও রুক্ষ। যার ফলে দেখা দেয় চামড়া ঝরে পড়ার মতো নানান সমস্যা। বছরের অন্য ঋতু সমূহে এই সমস্যা হয়না তবে শীতকাল আসলেই কেনো এই সমস্যা দেখা দেয়? তোমাদের মনে এ নিয়ে কৌতূহল রয়েছে তাই না? তাই আজ তোমাদের জানাবো শীতকালে ত্বক ফেটে যাওয়ার প্রধান কারণগুলো সম্পর্কে।
শুষ্ক আবহাওয়া: শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডায় গাছপালা, মাঠ-ঘাট যেমন রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে তেমনি আমাদের ত্বকের ওপর পড়ে এর প্রভাব। পরিবেশের এই শুষ্কতার জন্য আমাদের ত্বকও শুষ্ক হয়ে পড়ে। যার ফলে ত্বকের কোনো নির্দিষ্ট স্থানে অল্প সংস্পর্শেও দেখা যায় চামড়া সাদা হয়ে যায়, মূলত সে স্থানের ত্বক শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে প্রাণহীন ও দুর্বল হয়ে পড়ে। যা শীতকালে ত্বক ফাটার অন্যতম কারণ।
জলীয় বাষ্পের স্বল্পতা: শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার চাইতে অনেক কমে যায়। জলীয় বাষ্পের এই শূন্যতা পূরণের জন্য দরকার পড়ে প্রচুর পরিমাণ পানি। যা বাতাস পুকুর, খাল-বিল ও নদ-নদী থেকে শুষে নেয়ার মাধ্যমে এই ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। এই কারণেই দেখা যায় শীতকালে পুকুর ও খালবিলের পানি কমে যায়। এই সময় আমাদের ত্বকে থাকা স্বাভাবিক জলও বাতাস শুষে নেয় যার কারণে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা হারায় এবং ত্বক ফাটতে শুরু করে।
ঠান্ডা বাতাস: ঠান্ডা বাতাস চারপাশের পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের ত্বক কেও করে তোলে শুষ্ক ও রুক্ষ। অতিরিক্ত ঠান্ডা বাতাস শুষে নেয় ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা এবং ত্বক কে করে তোলে নির্জীব। যার ফলে ক্রমান্বয়ে ত্বক ফাটা ও খসে পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
এছাড়া আরো কিছু কারণ যেমন জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর অভ্যাস, পেশাগত কারণ, ধূমপান, অত্যধিক চা-কফি পান, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি কারণেও ত্বক ফাটতে পারে। তবে এই কারণ গুলো অন্যান্য ঋতুতেও ত্বক ফাটার কারণ হতে পারে। আশা করি তোমরা এই বিষয়ে একটি পরিষ্কার ধারণা লাভ করেছো, এই ধরনের আরো ইন্টারেস্টিং বিষয় সমূহে জানতে কমেন্ট করে জানাতে পারো আমাদের কমেন্ট বক্সে। আজকের মতো এতটুকুই পরবর্তী ব্লগে ফিরে আসবো নতুন কোনো টপিক নিয়ে, সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থেকো সুস্থ থেকো।
– মোঃ রাফসান তালুকদার
(রিসার্চার, মেডিক্যাল প্রফেশনাল)