সুস্থ বিনোদনের জন্য খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমাদের দেশের গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেশীয় অনেক খেলা। যা আমাদের ঐতিহ্যকে বহন করে।
প্রিয় বন্ধুরা, তোমাদের জন্য তেমন কিছু দেশীয় খেলার নাম এবং তার নিয়ম-কানুন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আমরা সাজিয়েছি ‘সুস্থ বিনোদনে দেশীয় খেলা’। চলো তাহলে শুরু করা যাক!
মোরগ লড়াই
এখনো বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোরগ লড়াই খেলাটির প্রচলন রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে এই খেলাটি এখনও অনেক জনপ্রিয়।
খেলার নিয়ম
খেলার প্রথমেই গোল একটি বৃত্ত এঁকে নিতে হয় মাটিতে। বৃত্তটি কত বড় হবে তা নির্ভর করে প্রতিযোগী কত জন সেই সংখ্যার উপর।
এরপর প্রতিযোগীদের বৃত্তের ভেতর দাঁড়াতে হবে। এরপর এক পায়ের উপর ভর করে দাঁড়াতে হবে। অন্য পা পেছনে উপরের দিকে ভাঁজ করে রাখতে হবে। ভাঁজ করা এই পা-টি দুই হাত দিয়ে ধরে রাখতে হবে। কোথায়ো কোথায়ো দুই হাতের পরিবর্তে এক হাত দিয়ে ভাঁজ করা পা ধরা হয়, অন্য হাত দিয়ে পা ধরে রাখা হাতের কনুই বরাবর ধরে রাখা হয়।
সবাই এভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর রেফারি বাঁশি দিলে এক পায়ে ভর দিয়ে সামনে এগিয়ে প্রতিপক্ষকে ভাঁজ করা পা দিয়ে আক্রমণ করতে হয়।
কেউ পড়ে গেলে বা পা ছেড়ে দিলে সে ডিসকোয়ালিফাইড হিসেবে বিবেচিত হয়।
বাকিরা এভাবে লড়াই করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত যে তিনজন অবশিষ্ট থাকে, তাদের মাঝেই লড়াইয়ের ভিত্তিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারিত হয়ে থাকে।
মোরগ লড়াই মূলত বুদ্ধির খেলা। যারা বুদ্ধিমান তারা প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করা বা প্রতিপক্ষের আক্রমণ এড়িয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে। তাই বলা যেতে পারে, শারীরিক শক্তির তুলনায় বুদ্ধিই এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
– শারমিন কবীর