কলেজ, পড়ালেখা, এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনসহ ব্যক্তিগত শখ, ইচ্ছা পূরণের মাঝে ভারসাম্য আনতে প্রতিদিন হিমসিম খেতে হয় কলেজপড়ুয়া ইমনের। একই অবস্থা স্কুল পড়ুয়া মালিহারও।
কি, তোমার সাথে মিলে যাচ্ছে তো?
শুধু তুমি নও, টাইম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আমাদের সবারই কম বেশি ঝামেলায় পড়তে হয়। কিন্তু যারা জীবনে সফল হয়েছেন, তারা কিন্তু প্রত্যেকেই টাইম ম্যানেজমেন্টে গুরুত্ব দিয়েছেন।
ইলন মাস্ক, মার্ক জাকারবার্গ, বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট, স্টিভ জবস এমন কি তোমরা যাদের খেলা দেখে বড়ো হচ্ছো সেই সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ভিরাট কোহলি, মেসি, রোনালদো, এদের সবার সফলতার পেছনেই কিন্তু আছে পরিশ্রম, সততা আর টাইম ম্যানেজমেন্ট।
পরিশ্রম এবং সততা নিয়ে অন্য একদিন কথা বলা যাবে। আজ টাইম ম্যানেজমেন্টে কীভাবে তুমি আরো দক্ষ হয়ে উঠতে পারো সেই বিষয়ে কথা বলি।
লক্ষ্য নির্ধারণ করো
মেসি, রোনালদো, এমবাপ্পে অথবা সাকিব আল হাসান বা ভিরাট কোহলি, তারা প্রত্যেকেই কিন্তু তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে রেখেছিলেন! দেখো, আজ তারা তাদের লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছেন। ঠিক একই ভাবে শাহরুখ খান, আমির খান, টম ক্রুজ, জনি ডেপ, অ্যাঞ্জেলিনা জলিও তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই অনুসারে কাজ করে আজ সফল হয়েছেন।
তাই সবার আগে তোমাকে তোমার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। সেটি হতে পারে দিন, মাস বা বছর শেষে তোমার লক্ষ্য, অথবা স্কুল-কলেজ শেষে তুমি তোমার কোন লক্ষ্য পূরণ করতে চাও, অথবা হতে পারে তোমার জীবনের লক্ষ্য।
গুরুত্ব অনুসারে তোমার কাজ সাজিয়ে নাও
লক্ষ্য নির্ধারণ তো হলো, এবার কী করবে? এবার লক্ষ্য পূরণে তোমাকে কোন কাজগুলোর উপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সেটি নির্ধারণ করো। সেই সাথে দিনের কোন সময়ে কোন কাজটি করলে ভালো হবে সেই অনুসারে একটি রুটিন তৈরি করো।
বিরতি নাও
একটি কাজ শেষ করে অন্য একটি কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই অল্প কিছু সময়ের জন্য বিরতি নাও। এই বিরতি তোমাকে তোমার পরবর্তী কাজে সহযোগিতা করবে।
কাজ ফেলে রেখো না
“এখন না, পরে করবো/আজ না, কাল করবো” – এভাবে কাজ ফেলে রেখো না। হতে পারে সেটি তোমার ক্লাসের পড়া অথবা এমনি কোনো কাজ। বিশ্বাস করো, এই কাজ আর পরে করা হবে না। করা হলেও তোমার টাইম ম্যানেজমেন্টে বেশ বড়ো ধরনের সমস্যা তৈরি হবে। আর এভাবে কাজ জমতে জমতে এক সময় দেখবে অনেক কিছুই করা হয়নি, তুমি পিছিয়ে পড়েছো।
সপ্তাহ শেষে কাজের অগ্রগতি মিলিয়ে নাও
প্রতি সপ্তাহ শেষে ঐ সপ্তাহে তোমার যা যা করার কথা ছিলো, তা তুমি করতে পেরেছো কি না মিলিয়ে নাও। দেখে নাও কোনো কাজ বাকি রয়েছে কি না, কেন বাকি রইলো নিজেই বের করে নাও।
একইসাথে দেখে নাও নির্দিষ্ট সব কাজ শেষ করে বাড়তি কোনো কাজ করতে পেরেছো কি না, যদি পারো তবে বুঝবে তুমি ধীরে ধীরে টাইম ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হয়ে উঠছো!
আর জানোই তো, টাইম ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হয়ে ওঠা মানেই হচ্ছে, সফলতা ঠিক তোমার দরজার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে!