আগের পর্ব – প্রত্যাখ্যানঃ কীভাবে নিজেকে সামলাবে? (পর্ব-০১)
মেনে নিতে শেখো: পৃথিবীতে সবকিছু আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়না। কিছু মুহূর্ত আসে যখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না, শত চেষ্টার পরেও নিজের বিশুদ্ধ অনুভূতি পছন্দের মানুষটিকে বোঝানো সম্ভব হয়না। এই মুহূর্তগুলো হয় অত্যন্ত বেদনাদায়ক আর এই সময়টায় নিজেদের স্থির রেখে প্রত্যাখান মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। তাই প্রত্যাখ্যানকে জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ হিসেবে মেনে নিতে শিখো।
প্রিয় মানুষটির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হও: প্রত্যেকেরই নিজের পছন্দ অনুসারে সঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। এটি জরুরি নয় যে তোমার যাকে ভালো লাগে তারও তোমার প্রতি একই অনুভূতি কাজ করবে। তাই প্রত্যাখ্যাত হলে তার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকো।
প্রত্যাখ্যানের পর নিজের ক্ষতি করো না: এই সময়টায় বিদ্যমান অত্যধিক পরিমাণ অবসাদের কারণে তোমাদের বয়সী অনেক টিনএজার নিজের ক্ষতি করে ফেলে যেমন শরীরের কোনো অংশ আহত করা কিংবা সুইসাইডের চিন্তা করা। এই ধরনের কাজ মোটেও করা যাবে না। নিজের ক্ষতি করে অন্যকে শিক্ষা দিতে চাওয়া খুবই ভুল একটি ধারণা। এমন কিছু করো না, যাতে তোমার পরিবার কষ্ট পায়। ভুলে যেয়ো না, তোমার পরিবার তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে।
প্রত্যাখ্যানের পর প্রতিশোধ পরায়ণ না হওয়া: এই সময়টায় অনেকেই প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তাদের নিজেদের এবং পরিবারে উপর। মনে রাখতে হবে “Consent বা সম্মতি” এমন একটি বিষয় যা ছাড়া আমরা কারো কাছ থেকে কোনোভাবেই কিছু প্রত্যাশা করতে পারি না। তাই কেউ যদি তোমাদের প্রত্যাখ্যান করে, তবে সেই ক্ষেত্রে কোনোভাবেই প্রতিশোধের চিন্তা করা যাবে না।
মানসিকভাবে বেশি ভেঙে পড়লে সাইকিয়াট্রিস্টের শরণাপন্ন হও: এই সময়টায় তীব্র অবসাদ তৈরি হতে পারে। যার ফলে দেখা দিতে পারে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা। তাই এই সময় একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তোমাদের সাহায্য করতে পারেন।
আশা করি এই গাইডলাইনগুলো তোমাকে প্রত্যাখ্যানের কঠিন সময়টিতে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এই বিষয়ে তোমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও মনোভাব জানাতে পারো। যে কোনো ধরনের প্রশ্ন লিখে জানাতে পারো আমাদের কমেন্ট বক্সে।
– মোঃ রাফসান তালুকদার
(রিসার্চার, মেডিক্যাল প্রফেশনাল)