সোশ্যাল ইস্যুস অ্যান্ড এক্টিভিজম

মাদককে ‘‘না’’ বলো (পর্ব ০২)

মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব 

মাদকাসক্তি যে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির  শারিরীক ক্ষতি করে তা কিন্তু নয়। এর অনেক ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। যেমনঃ 

মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি 

  • মনযোগ কমে যায় 
  • সিদ্ধাহীনতায় ভোগার প্রবণতা বাড়ে 
  • আত্মনিয়ন্ত্রণ হারানো 
  • অস্থিরতায় ভোগা 
  • উগ্র আচরণ দেখা দেয় 
  • কোনো কিছু শেখার প্রতি আগ্রহ কমে যায় 
  • কোনো কাজে আনন্দ লাভ করে না 
  • সম্পর্কে অবনতি ঘটে 
  • আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিতে পারে 

পরিবারের উপর প্রভাব 

  • পরিবারে অশান্তি তৈরি হয় 
  • সমাজের কাছে পরিবারটিকে হেয় হতে হয় 
  • প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়
  • পরিবারটি অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় 

সমাজের উপর প্রভাব 

  • মাদকসেবীরা মাদকের টাকা যোগাড়ের জন্য খুন, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে
  • বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়
  • বিভিন্ন ধরনের দল বা গ্যাং তৈরি করে মাদকসেবীদের সংঘবদ্ধ অপরাধ বেড়ে যায়

মাদকাসক্তি প্রতিরোধে করণীয় 

  • মাদকের ছোবল থেকে সন্তানকে বাঁচাতে অভিভাবকদের সন্তানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানকে সময় দিতে হবে। সন্তানের বন্ধু হয়ে উঠতে হবে। 
  • সন্তান কার সাথে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে। এই বিষয়গুলোর প্রতি সতর্কভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। 
  • খেলাধূলাসহ সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চায় উৎসাহ যোগাতে হবে। 
  • সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের যেমন – শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা, রাজনৈতিক প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি, সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এক সাথে কাজ করতে হবে। 
  • মাদকের কুপ্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সচেতনতা তৈরির কাজ করতে হবে তাদের। 
  • আইনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। 

প্রিয় বন্ধুরা, মাদকের বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা আজ তোমাদের জানালাম। আশা করি তোমরা নিজেরা জানার পাশাপাশি তোমাদের বন্ধুদেরও মাদকের কুপ্রভাব সম্পর্কে জানাবে। এবং তোমরা সবাই একসাথে মাদক থেকে সবাইকে দূরে থাকার জন্য সচেতনতা তৈরি লক্ষ্যে কাজ করবে। 
-শারমিন কবীর

M S

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like

সোশ্যাল ইস্যুস অ্যান্ড এক্টিভিজম

শিশুশ্রম নিরসনে টিনএজারদের ভূমিকা 

শিশুশ্রম সমাজের অন্ধকার একটি অধ্যায়। যার ফলে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে হাজারো শিশুর ভবিষ্যৎ। সচেতনতার অভাবে বেড়ে চলেছে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা। দরিদ্রতা
নিজের যত্ন সোশ্যাল ইস্যুস অ্যান্ড এক্টিভিজম স্বাস্থ্য ও সুস্থতা

কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যা নিরসনে করণীয়

আঁচল ফাউন্ডেশনের একটি জরিপ থেকে জানা যায়, ২০২৩ এর জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এদেশে শিক্ষার্থী আত্মহত্যার সংখ্যা ৩৬১ জন। ২০২২